আজ || সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  অভিন্ন চাকুরীবিধি বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন       তালায় বন্ধ রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম ॥  সেবা থেকে বঞ্চিত গ্রাহকরা         তালায় ১১৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থ বিতরণ       বৈষম্যের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন       কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বিশাল পথসভা অনুষ্ঠিত       তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ॥ প্রতীক পেয়েই প্রচার শুরু       তালায় খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ       তালায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে হাঁসের বাচ্চা বিতরণ       তালায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতা    
 


কেশবপুরে মাছের ব্যবসায়ী সোহাগ তার স্ত্রী ও অর্থ সম্পদ হারিয়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে আজ পথে পথে

স্ত্রীর পরকীয়াব বলীহয়ে কেশবপুরে মাছের আড়ৎদার ব্যবসায়ী আসাবুর রহমান সোহাগ স্ত্রী ও অর্থসম্পদসহ সব হারিয়ে দুই শিশু কন্যা সন্তান, পিতা-মাতাকে নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় আজ পথে পথে ঘুরছে।

গতকাল বুধবার কেশবপুর থানায় অভিযোগ সুত্রে ও সোহাগের স্বাক্ষাতকালে জানাগেছে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের মাহবুবুর রহমান বিশ্বাসের পুত্র মোঃ আসাবুর রহমান সোহাগ (৩২)তৎকালীন ঔষধ কোম্পানীতে চাকুরির সুবাদে পরিচিত হয়ে নাটোর সদর জেলার বারঘরিয়া পন্ডিত গ্রামের মাতা বিলকিস বেগম ও পিতা আব্বাস মন্ডলের কন্যা আসমা বেগম(২৮) কে বিয়ে করেন ২০০৭ সালে এবং কেশবপুরে মাছের আড়ৎদার ব্যবসার সুবাধে কেশবপুর পৌর শহরের ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে সববাস করতেন। দীর্ঘ সংসার যীবনে রিয়া আক্তর(১১) ও পিয়া আক্তার(৫) নামের দুটি কন্যা সন্তান নিয়ে তাদের সুখের সংসার ছিলো।

আসমা বেগম সারাদিন বাসায় অলস সময় কাটানোর ও তার বাসায় বেগানা পুরুষের অবাদ যাতায়াতের ফলে পাঁজিয়া বাজারের মুক্তার আলী গাজির পুত্র কাঁচামালের আড়ৎদার ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর সাদ্দামের সহযোগিতায় আসমা বেগম ২৫/০৩/২০২১ তারিখে সোহাগের সংসারের যাবাতীয় আসবাবপত্র, মালামাল যার মূল্য ৩ লাখ টাকা, সাড়ে ৭ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকর যার মূল্য ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মুল্যবান কাগজপত্র ও নগদ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় এবং স্বামীকে ২৪/০৪/২০২১ তারিখে তালাক নামা পাঠিয়ে দিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

বর্তমানে আসমা বেগম সাদ্দামের জীম্মায় থাকলেও সে আত্বোগোপনে রয়েছে। এদিকে সোহাগ নগদ টাকা, অর্থ সম্পাদ ও স্ত্রীকে হারিয়ে ও স্ত্রীর হুমকি ভয়ভীতিতে পিতামাতা ও সন্তানদের নিয়ে জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে এবং তার ও সাদ্দাম বাহীনির ভয়ে আতংকে রয়েছে কেশবপুর পৌর শহরের বাসা ছেড়ে দিয়ে ডুমুরিয়ার বাদুড়িয়া গ্রামে পিতার বাড়ি চলেগেছে।

এব্যাপারে সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান আসমা বেগম তার নিকট হতে নগদ ৪ লাখ টাকা নিয়েছিলো ঐ টাকা উদ্ধার করতে তাঁর সংসারের যাবাতীয় আসবাবপত্র মালামাল,স্বর্ণালংকর নগদ টাকা সহ তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসছি। সে আমার জিম্মায় রয়েছে। সাদ্দামের বাড়ি পরিদর্শন কালে সোহাগের সংসারের যাবাতীয় আসবাবপত্র মালামাল তাঁর বাড়িতে দেখা গেছে এবং আসমা বেগম সাদ্দামের বাড়িতে ছিলো বলে সাদ্দামের স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।

এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন জানান গতকাল ১৪ জুলাই বুধবার আসাবুর রহমান সোহাগের একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি যা তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে


Top